ইসলাম বনাম হাতাশা - ৩
ডা. হালিম শাখতার বলেছেন, ‘যাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে, তারা অত্যধিক ভাবপ্রবণ হয়ে থাকে এবং এ জন্য সামান্য বিপদ আপদে তারা দুঃখ ভোগ করে । এ সমস্ত দুঃখের স্মৃতি তাদের অবচেতন মনে থেকে যায় এবং তাদের কাজ, কথা ও বিচারশক্তিকে প্রভাবিত করে । অতি শিগগিরই তারা হতাশাচ্ছন্ন ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে । তাদের এ দুর্দশার পেছনে কীসব কারণ রয়েছে তাও তারা বুঝতে পারে না। যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিসমূহ, আমাদের অনুভূতির সম্পূর্ণ ঊর্ধে্ব তাদের লুকিয়ে রাখে এবং সহজে আমাদের কাছে তা ধারা দেয় না । অন্য কথায় বলতে গেলে মানুষের জন্য এটা স্বাভাবিক যে, মানুষ এসব যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিকে পরিহার করতে পারে এবং তাদের মন থোকে এসবকে উপড়ে ফেলতে পারে । এসব লুক্কায়িত শত্রু আমাদের আত্মার ক্ষতিসাধন, আমাদের সধ্যে ঘৃণা সৃষ্টি ও আমাদের আচার-আচরণের অধঃপতন ঘটাতে কখনো বিরত থাকে না । আমাদেরকে নিজেদের পক্ষ থেকেও অন্যদের কাছ থেকে এমন সব কথা শুনতে হয় বা এমনসব কাজের সম্মুখীন হতে হয় যার সপক্ষে আমরা কোনো ন্যায়সঙ্গত ব্যাখ্যা উপলদ্ধি করি না। তথাপি যদি আমরা সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করি তা হলে আমরা দেখতে পাব যে এসব খারাপ স্মৃতিসমূহের দ্বারা গংঘটিত হয়েছে।’
*রাশদে শাখচিয়্যাত ।*
হীন স্বভাবের লোকেরা তাদের অন্যদের কাজের বিচারক নির্বাচন করে থাকে । এতে অন্যদের যাবতীয় অপকর্ম তাদের মধ্যে প্রতিফলিত হয় । হযরত আলী (রাঃ) এ সত্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন - বদকার লোকেরা কখনো অন্যের সঙ্গল চিন্তা করে না, কেননা তারা অন্যদের তাদের নিজেদের খারাপ আচরণের দৃষ্টিতে দেখে থাকে ।’
*গুরার আল হিকাম, পৃষ্ঠা ৮০।*
ডা. ম্যানের বক্তব্য এখানে উদ্ধৃত করা হলো- কিছু লোক অন্যদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ এনে তাদের দোষী সাব্যস্ত করতে চায় অথচ তারা নিজেরা ঠিক একই ধারনের আচরণ করে থাকে, নিজস্ব দুর্বলতা ঢাকা দেয়া ছাড়া ও একপ্রকার আত্মরক্ষা হিসেবে তারা এটা করে থাকে । এ আচরণকে দুশ্চিন্তা দূরীকরণের একটা পন্থা হিসেবে বর্ণিত হয়ে থাকে । অন্যকে নিজের সাথে তুলনা করা একটা প্রতিশোধমূলক কাজ । এ অবস্থা যত বেশি গভীর হতে থাকে এবং ব্যক্তির প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি পেতে থাকে, সে মানসিক রোগীদের পর্যায়ে পৌছে যায় । সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য কিছু কাজ করার দ্বারা এ প্রতিরক্ষা তৈরি করা হয়, যা পরবর্তী পর্যায়ে অন্যদের সাথে সম্পর্কিত করার মনোভাব সৃষ্টি করে ।
*উসুলে রাভানশিনাচি ।*
ডা. হালিম শাখতার বলেছেন, ‘যাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে, তারা অত্যধিক ভাবপ্রবণ হয়ে থাকে এবং এ জন্য সামান্য বিপদ আপদে তারা দুঃখ ভোগ করে । এ সমস্ত দুঃখের স্মৃতি তাদের অবচেতন মনে থেকে যায় এবং তাদের কাজ, কথা ও বিচারশক্তিকে প্রভাবিত করে । অতি শিগগিরই তারা হতাশাচ্ছন্ন ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে । তাদের এ দুর্দশার পেছনে কীসব কারণ রয়েছে তাও তারা বুঝতে পারে না। যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিসমূহ, আমাদের অনুভূতির সম্পূর্ণ ঊর্ধে্ব তাদের লুকিয়ে রাখে এবং সহজে আমাদের কাছে তা ধারা দেয় না । অন্য কথায় বলতে গেলে মানুষের জন্য এটা স্বাভাবিক যে, মানুষ এসব যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতিকে পরিহার করতে পারে এবং তাদের মন থোকে এসবকে উপড়ে ফেলতে পারে । এসব লুক্কায়িত শত্রু আমাদের আত্মার ক্ষতিসাধন, আমাদের সধ্যে ঘৃণা সৃষ্টি ও আমাদের আচার-আচরণের অধঃপতন ঘটাতে কখনো বিরত থাকে না । আমাদেরকে নিজেদের পক্ষ থেকেও অন্যদের কাছ থেকে এমন সব কথা শুনতে হয় বা এমনসব কাজের সম্মুখীন হতে হয় যার সপক্ষে আমরা কোনো ন্যায়সঙ্গত ব্যাখ্যা উপলদ্ধি করি না। তথাপি যদি আমরা সতর্কতার সাথে পরীক্ষা করি তা হলে আমরা দেখতে পাব যে এসব খারাপ স্মৃতিসমূহের দ্বারা গংঘটিত হয়েছে।’
*রাশদে শাখচিয়্যাত ।*
হীন স্বভাবের লোকেরা তাদের অন্যদের কাজের বিচারক নির্বাচন করে থাকে । এতে অন্যদের যাবতীয় অপকর্ম তাদের মধ্যে প্রতিফলিত হয় । হযরত আলী (রাঃ) এ সত্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন - বদকার লোকেরা কখনো অন্যের সঙ্গল চিন্তা করে না, কেননা তারা অন্যদের তাদের নিজেদের খারাপ আচরণের দৃষ্টিতে দেখে থাকে ।’
*গুরার আল হিকাম, পৃষ্ঠা ৮০।*
ডা. ম্যানের বক্তব্য এখানে উদ্ধৃত করা হলো- কিছু লোক অন্যদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ এনে তাদের দোষী সাব্যস্ত করতে চায় অথচ তারা নিজেরা ঠিক একই ধারনের আচরণ করে থাকে, নিজস্ব দুর্বলতা ঢাকা দেয়া ছাড়া ও একপ্রকার আত্মরক্ষা হিসেবে তারা এটা করে থাকে । এ আচরণকে দুশ্চিন্তা দূরীকরণের একটা পন্থা হিসেবে বর্ণিত হয়ে থাকে । অন্যকে নিজের সাথে তুলনা করা একটা প্রতিশোধমূলক কাজ । এ অবস্থা যত বেশি গভীর হতে থাকে এবং ব্যক্তির প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি পেতে থাকে, সে মানসিক রোগীদের পর্যায়ে পৌছে যায় । সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য কিছু কাজ করার দ্বারা এ প্রতিরক্ষা তৈরি করা হয়, যা পরবর্তী পর্যায়ে অন্যদের সাথে সম্পর্কিত করার মনোভাব সৃষ্টি করে ।
*উসুলে রাভানশিনাচি ।*
No comments:
Post a Comment