Monday, August 8, 2016

টেমস্‌ নদীর পার দিয়ে শুরু আবিস্কারের পথচলা

ডেভিড একজন সাধারন মানুষ, শুধু সাধারন বল্লে চলবে না, অনেক বেশী সাধারন একজন। ডেভিড এর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো ই্ংল্যান্ডের টেমস্‌ নদী। সে সবসময় ঐ নদীর পারে বসে নিজেকে নিয়ে ভাবে, নিজের সব কিছু নিয়ে অনেক গবেষণা করে থাকে। নিজেকে নিয়ে ডেভিড খুব বেশী চিন্তিত। কারন ডেভিড এর ভবিষ্যত উন্নতির দিকে যেতে হলে তাকে অনেক বেশী বেশী নিজেকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আর যদি কোন ভালো-মন্দ পদক্ষেপ নিতে হয়,সেটা নিয়েও সে অনেক বেশী ভাবে। আর ডেভিড এর এই নিজেকে নিয়ে ভাবার বা আবিস্কার করার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো সেই টেমস্ নদীর পার। কারন ডেভিড প্রকৃতি অনেক বেশী ভালোবাসে, তাই প্রকৃতির পাশে বসলে তার মন অনেকটা ভালো হয়ে যায়। তাছাড়া ডেভিড এর অতীতে যতো স্মৃতি যতো ভালো-মন্দ সব কিছুই সে এগুলি নিয়ে একা একা ভাবে।সেটা সেই নদীর পাড় বা অন্ন কোন নিরালা স্থানে বসেও ভাবতে। ভাবতে ডেভিড খুর বেশী পছন্দ করে।
ডেভিড ছেলিটির অনেক স্বপ্ন ছিলো,এখনো আছে, কিন্তু কোনদিন সে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবে প্রতিফলন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সে অনেক বেশী সন্দীহান। কারণ এই বাস্তবতার সময়ে ডেভিড কে কেহই বিন্দুমাত্র সাহায্য সহযোগীতা করেনা। ডেভিড অনেক চেষ্টা করেছে জীবনটাকে সাজাতে, অনেকের কাছে সাহয্য সহযোগীতা চেয়েছে। কিন্তু কোনদিন কারো কাছ থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা পায়নি। অনেকবার তার আপন নানীকেও বলেছে যে নাকি তার মায়ের চেয়েও বেশী কিছু। কিন্তু না সেখানে যেয়েও তার কোন কুল-কিনারা হয়নি। এক সময় ডেভিড অনুধাবন করতে পারলো যে কোন লাভ হবে না, তাই সে সিদ্ধান্ত নিল এখন থেকে একলাই চলবে। আসুক যতো বাঁধা জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়াই করেই যাবে।
ডেভিড এতোবেশী অসহায় কেন...!! অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে। ডেভিড এতোবেশী অসহায়ে অন্যতম কারন হলো, ডেভিড যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন থেকেই তার একাকীত্ম আর কষ্ট আর বিসর্জন দেয়ার জীবন শুরু হয়। তার কারন ডেভিড এর মা ডেভিডকে পৃথিবীর মুখ দেখিয়ে সাথে সাথে বিদায় নিয়ে যায়। আর ডেভিড এর বাবা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর একজন বাবা। আসলে তাকে বাবা বলা যায় না । একজন জন্মদাতা, কারন জন্ম সবাই দিতে পারে, কিন্তু বাবা হওয়ার মরজাদা সবাই পায়না। প্রতিদিন ইংল্যান্ডের হাসপাতাল গুলো অনেক শিশু পৃথিবীর আলো দেখার আগেই তাদেররে মেরে ফেলা হয়, তাদেরওতো জন্মদাতা আছে,তাইনা.......?? তাহলে বাবা হওয়াটা এতো সহজ না। এক কথায় বলা যায় যে ডেভিড এর বাবা ডেভিড কে অ-ঘোষিত তেইজ্য পুত্র করে রেখেছে। তাই ডেভিড এর জীবনে নেমে আসে দূর্যোগময় জীবন। ডেভিড এর বাবা দ্বীতিয় বিয়ে করেছিল, তাই সে তার দ্বিতীয় সংসার নিয়েই ব্যাস্ত। ডেভিড এর তার জীবনে কোন প্রয়োজন নেই। ডেভিড কে সে তার ভরন-পোষন দিয়ে বড় করতে পারবেনা বলে ডেভিড এর বাবা তার বাড় ভাইয়ের কাছে ডেভিড কে অঘোষিত ভাবে বিক্রি করে দেয়। বাবার বাড় ভাই অবশ্য ডেভিডকে পরাশুনা করিয়েছে। কিন্তু ডেভিড কে তার বিনিময়ে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা আর জীবনকে বিসর্জন দিতে হয়। যার কারণে ডেভিড কে এক কথায় বলা চলে সবাই ব্যাবহার করেছে। সর্বোচ্চ করেছে করুনা। তাই ডেভিড সাহসি কোন পদক্ষেপ আজওে জীবনে নিতে পারেনি। এখনো সবাই যে যেভাবে পারে ডেভিড কে সরল মনে ব্যাবহার করছে।

Thursday, May 26, 2016

অস্তিত্বে লড়াই।

প্রতিনিয়তই খুব ভয়ের উপর থাকি। এই বুঝি আমার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই বুঝি আমার সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। হায় হায় আমি এখন কি করবো, কোথায় যাবো .......!!! এই ধরনের চিন্তা ভাবনা সবসময় থাকেই । তার কারন আমিতো বৃত্তের যে বিন্দু, সেই বিন্দুতেই শুধু আমি আছি, আর আমার চারপাশ ফাকা। আশেপাশে কেহ নেই। বিপদের সময় যে বিশ্বস্ত কোন কাছের মানুষের কাছে গিয়ে সাহায্য চাবো, এমন কেহ নেই.......!! তাই সবসময় ভয়ের মধ্যেই থাকতে হয়। এই আতঙ্ক আর ভয় এখন প্রতিনিয়তই আমার সাথি। তাই অস্তিত্ব নিয়ে সঙ্কটময় জীবনটাই পার করছি।
নিজের উপর নিজেই কেমন জানি সন্দেহের সৃষ্টি হয়, আমি কি পাড়বো ? আমি কি এটা করতে পারবো ? নাকি হেড়ে যাবো ? সমসময় একটা দিধা দ্বন্দ্বের ভিতরেই থাকি। আমি জানি আমি এটা করতে পারবো, এমনকি করেও যাচ্ছি, মাঝে মাঝে প্রশাংসাও পাচ্ছি। কিন্তু নিজের মাঝে কেমন জেন একটা দিধা বা হেরে যাওয়ার একটা ভয় থেকেই যায়।
আমি এটাও জানি ভয়টা কেন থাকে, ভয়টা থাকার অন্যতম কারণ হলো। এইজে আমি অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই করছি, যদি হঠাৎ আমার চালার পথ বন্ধ হয়ে যায় বা নিজের আয় ইনকাম বন্ধ হয়ে যায়, তখন আমি কি করবো। এই যে একটা দিধা কাজ করে, যার কারনে অনেক ভয় লাগে।
যেদিন থেকে নিজের জীবনকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলাম, যেদিন থেকেই নিজের অস্বিত্ব নিজে টিকিয়ে রাখার একটা ভার এসে পড়ে, যদিও তখন অনেকে অনেক আশা দেখিয়ে ছিল, অনেক আশা দেখিয়ে ছিল, পাশে থাকবে, বিপদে হাত বাড়িয়ে দিবে। কিন্তু খুবিই অল্প কিছুদিন পড়ে আর তাদের কেও খুঁজে পাইনি। তাই তখন থেকেই নিজের অস্বিত্ব নিজের হাতেই তুলে নিয়ে ছিলাম। নেমে গিয়ে ছিলাম জীবন যুদ্ধে। যুদ্ধটা ছিল অনেক কঠিন, এতোটাই কঠিন তা একমাত্র মহান আল্লাহ্‌ তায়ালাই ভালো জানেন।
এক সময় মুরব্বিদের কাছে গল্প শুনতাম, তারা জীবনে অনেক কষ্ট করেছে, আমি মানি তারা কষ্ট করেছে। কিন্তু তাদের কষ্ট আর আমার কষ্টের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে, তারা যখন জীবন যুদ্ধ করেছে, তখন তারা গ্রামের পরিবেশেই বেশী কষ্ট আর জীবন যুদ্ধটা করেছে। এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের পাশে তাদের পরিবার ও ছিল । কিন্তু আমি যুদ্ধ করেছি ভিন্ন একটা পরিবেশে, আমি যুদ্ধ করেছি শহুরের পরিবেশে, আর তখন আধুনিক জীবন যাপন সমন্মিত শহুরে পরিবেশে জীবন যুদ্ধ করাটা অনক কঠিন ছিল। সবদিকে আকাশচুম্বি আকাংঙা, তাই নিত্য দ্রব্য থেকে শুরু করে সবদিকেই ছিল আকাশচুম্বি খরচ। সেই সময়টাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। অনেক। প্রতিনিয়তই ভয়ে থাকতাম, এই বুঝি আমি হার মানলাম, আর বুঝি সামনে এগুতে পারবো না। দিনে দিনে খরচ বেড়েই চলেছে। প্রথম দিকেতো কোন কিছুই করতাম না, অনেক সময় ধার দেনা করে চলা লাগতো।  এক সময় বুঝতে পারি আসলে পাশে এসে কেহই দাড়াবে না, দেখবে না আমার অবস্থা। তখন থেকেই নেমে পড়ি নতুন জীবনের নতুন অধ্যায়। শুরু করি আয় ইনকাম করার পথ, আল্লাহর রহমতে পেয়েও যাই। এবং আজ অবধি পেয়েই যাচ্ছি। কম হোক আর বেশী হোক। যদি মাঝে মাঝে পথটা বন্ধ হলেও আবার খুলে যায়। আসলে জীবনের অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখার খেলায় আর কেহ পাশে না থাকুক। এক মাত্র সৃষ্টি করতা মহান আল্লাহ্‌ তায়াল থাকলে আর কাওকেই লাগেনা । দরকার পড়েনা ।এটাই বাস্তব সত্য, চিরন্তর সত্য। এবং ইনশা আল্লাহ্‌ এই জীবনের অস্বিত্বের টিকে থাকার লাড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন থাকবেন। এটাই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি জানি কেহ আমার পাশে এসে আর দাড়াবে না। কিন্তু যতোদিন বাঁচবো পৃথিবীতে, ততোদিন নিজের অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখার লাড়ই করে যাবো। ইনশা আল্লাহ্‌।  কষ্ট এখন আর কষ্ট মনে হয়না । তাই জীবনটাকে কষ্টের মাঝেই উৎস্বর্গ করে দিলাম।

Thursday, February 18, 2016

ভাগ্যের অপেক্ষা

আমাদের সবারিই অনেক বড় বড় স্বপ্ন থাকে, এবং সবার স্বপ্ন গুলো খুব সুন্দর থাকে | এবং স্বপ্নের রং গুলো অনেক রঙিনময় হয় | সবাই স্বপ্ন দেখে আমি বড় হয়ে অনেক কিছু করব | আবার যারা একটু বড় হয়েছে বা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে তারা স্বপ্ন দেধে আমি টাকা-পয়সা হলে আমার থাকার স্থান টাকে অনেক উন্নত করবো, আমার মনের মতো করে সাজিয়ে তুলবো | এর সাথে সবারিই একটি গাড়ী এবং একটি বড়ী করার স্বপ্নও থাকে |
এখনে সবার মতো আমারো অনেক স্বপ্ন আছে, আর থাকাটাই স্বাভাবিক।মানুষের এই স্বপ্ন পূরনের পুরটাই নির্ভর করে ভাগ্যর উপর। আসলে ভাগ্য জিনিসটা কি ?? আমার মনে এটা নিয়ে খুব প্রশ্ন জাগে | আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলা-ফেরা করি | কথন অনেক মানুষকেইতো দেখি ভিক্ষা করছে, ভিক্ষা করতে করতে সে এখন বৃদ্ধ বয়সে উপনিত হয়েছে | তহলে কি তারা ভাগ্যকে উন্নতি করার জন্য প্রয়াস চালায়নি..?? নিশ্চয়ই করেছে, আর যদি করেই থাকে | তহলে কেন তারা এতাদিনে এই অবস্থাতে ...!! কেন তাদের ভগ্যের পরিবর্তন হয়েনি....!! আমি পথে হাজার হাজার মানুষকে চলতে ফিরতে দেখি, যারা বাসের দরজায় হ্যান্ডেল ধরে ঝু্লে ঝুলে চলে । আবার অনেকে টাকার অভাবে পুরো পথ হেটে চলাফেরা করে | তাহলে তারা কি সারাজীবন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য চেষ্ট করেনি ....?? কেন তারা এতো কষ্ট করে পাঁয়ে হেটে এতো দূরের পথে চলে | এখানে আমার মতামত বা আমার বক্তব্য অবশ্যই তারা চেষ্টা করেছে, জীবনের গতিটাকে উন্নতি করার জন্য | আমার চোখে দেখা একটি মানুষকেও আমি দেখিনি যে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করেনি বা করছে না | অবশ্য করে এখানে ভাগ্য নিয়ে আমার দর্শন আলোচনা করবো........................
তার আগে আমি একটু বলতে চাই যে, আমরা যেহেতু ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসি, আমাদের অবশ্যই ইসলামের কথার উপর বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা থাকতে হবে | কারণ মহান আল্লাহ যা বলেছেন, তার ভিতর কোন সন্দেহ নেই | ইসলামে তাক্বদীর বা ভাগ্য বলে একটি কথা আছে | ইসলামে দুই ধরনের তাক্বদীর বা ভাগ্য আছে | যার একটি একটি আল্লাহ তায়ালা সকলের জন্য নির্ধারন করে রেখেছেন।আরেকটি হলো মানুষের উপর ছেরে দেয়া হয়েছে, যা কিনা তার নিজ চেষ্টায় পরিবর্তন করতে পারে। এখানে আমি প্রথম টার সাথেই একমত, ভাগ্য আসলে শুধুই নির্ধারিত এবং তার জন্য যা নির্ধারন করে রাখা আছে, সেটাই সে কেবল পাবে। এর চেয়ে বেশী কিছু না। যদি দ্বিতীয়টা সত্যিই হতো, তাহলে মানুষের ভাগ্য সবারটাই পরিবর্তন হতো। এবং আমি দেখতাম না যে, একটা মানুষ তার যৌবন কাল থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল হলেই তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য প্রাণ পন চেষ্টা করেই যাচ্ছে, সকাল হলেই বাসের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে তার কর্মস্থলে যাচ্ছে। এবং সেটা তার যৌবন থেকে বৃদ্ধ কাল পর্যন্ত। এবং আমি এটাও দেখতাম না একটা মানুষ তার শিশুকাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শুধু ভিক্ষা করেই যাচ্ছে। তাহলে তারা কি সারা জীবন ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য চেষ্ট করেনি ?? অবশ্যই করেছে। তাহলে চেষ্টার দ্বারা সত্যিই যদি তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করা যেত । তাহলে অবশ্য পরিবর্তন হতো।
আমি জীবনে অনেক দেখেছি, অনেকে অনেক টাক পয়সা আয় করে কিন্তু সে তার সাথে সাথে সমপরিমান কিংবা তার চেয়ে বেশী ঋনী থাকে, কেন ? তাহলে তার মানেকি এই দারায়না যে, সে যতোই চেষ্টা করুকনা কেন !! তার ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না ।এভাবেই সারাজীবন ধার দেনার ভিতরেই কেটে যাব !! আমার জীবনে আমি এমন অনেক দেখিছি সারাজীবন ভাগ্যের পরিবর্তন করেও ভাগ্যকে আর বদলাতে পারেনি।
তাই আমার কাছে মনে হয় আমরা যতোই ভাগ্য ভাগ্য বলে আওয়াজ করিনা কেন, যতোই পরিবর্তনের চেষ্টা করিনা কেন, আসলে ভাগ্যের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উপর থেকেই সেট করা। তাই ভাগ্যের পিছনে না ছুটে নিজের জীবনকে তার আপন গতিতে ছেড়ে দেয়াই ভালো।


Nurul Huda
About Me

Monday, July 30, 2012

দেওবান্দ মাদ্‌রাসার প্রতিষ্ঠাতা কাশেম নানুতুবী ।
ভারতের বিখ্যাত দেওবান্দ মাদ্‌রাসার প্রতিষ্ঠাতা কাশেম নানুতুবী  এর পরিচয় ।

মাওঃ কাশেম নানুতুবী (জন্ম ১২৪ হিজরী) খতমে নবুওয়াত গবেষণায় বলেন- হুজুর পাক (সাঃ) এর যুগ পরবর্তী নবীদের যুগের পরে এবং তিনি সবার মধ্যে শেষ নবী এটা সাধারণ লোকদের ধারণা । বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সময়ের আগে ও পরে হওয়ার ব্যাপারে কোন মাহাত্ম স্বীকার করেন না । তাহলে প্রসংশার ক্ষেত্রে আল্লাহর খাতমুন নাবিয়্যীন বলাটা কি করে সঠিক হতে পারে ?? (তাহযীরুল নাস পৃঃ ০৩) একথা সকল মুসলমানই জানে যে, আল্লাহ পাক রাসূল কে খাতামুন নাবিয়্যীন বা শেষ নবী উপাধিতে আখ্যায়িত করেছেন ( সূরা-আহযাব) । কিন্তু দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা কাশেম নানুতুবী রাসূল (সাঃ) কে শেষ নবী বলে স্বীকার করেন না । রাসূল (সাঃ) কে আল্লাহ পাক খাতামুন নাবিয়্যীন উপাধিতে ভূষিত করাকে মাওলানা কাশেম নানুতুবী আল্লাহ পাকের ভূল ধরিয়ে দিয়ে বলেন যে, প্রসংশার ক্ষেত্রে আল্লাহর খাতামুন নাবিয়্যীন বলাটা কি করে সঠিক হতে পারে ?? (নাউযুবিল্লাহ্‌) নানুতুবীর উক্ত ফতোয়ার উপর বিশ্বাস রাখলে সুমলিমরা ঈমানদার বলে দাবি করতে পারবেতো ???????
লা মাযহাবী তথা ইসলামের চার মাযহাব সম্পর্কে কিছু কথা ।

(১) প্রথম ফিকহী দল হানাফী মাযহাবঃ- ইমাম আবু হানিফা (রঃ) (জন্ম ৮০ হিজরী) নিজে কোন মাযহাব প্রতিষ্ঠঠা করে যাননি । তাঁর মৃত্যুর ৪০০ হিজরীর পর ইরাকের হামীদ বিন সুলাইমান হানাফী মাযহাবের নাম করণ করেন । পরবর্তীতে আব্বাসীয় খলিফাগণ এই মাযহাবের স্বীকৃতি দান করেন । (ইসলামের  ইতিহাস পৃঃ ৩১২ তাবারেক আলী) । ইমাম সাহেব নিজ হস্তে কোন গ্রন্থও লিখে যাননি । ফিকুহুল আকবর গ্রন্থখানি আবু মুতীব বালখীর লেখা, ইহা দশম শতাব্দিতে লিখা হয়েছে ।

(২) দ্বীতিয় ফিকহী দল মালিকী মাযহাবঃ- ইমার মালিক ইবনে আনাস (রঃ) (জন্ম হিঃ ৯৩ ) স্পেনের খলিফা হিশাম ইবনে আব্দুর রহমান, মালিকী মাযহাব অনুসরণ করার নির্দেশ জারি করেন ।

(৩) তৃতীয় ফিকহী দল হাম্বলী মাযহাবঃ- ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস  (রঃ) (জন্ম ১৫০ হিজরী) দলাদলীতে প্রশ্রয়প্রাপ্ত ভক্ত শাগরিদগণই ক্রমশ এ মাযহবকে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলেন ।

(৪) চতুর্থ ফিকহী দল হাম্বলী মাযহাবঃ- ইমাম হাম্বল ইবনে হাম্বল (রঃ) (জন্ম ২৪১ হিজরী) তাঁর মৃ্ত্যুর পর তাঁর হাজার হাজার শিষ্য শাগরিদ তাঁর মাযহাবকে পুপ্রতিষ্ঠিত করেন।

এ চারটি মাযহাব ছারাও আরও কয়েকটি মাযহাবের উদ্ভব ঘটেছিল যা পরবর্বিতে উপরোক্ত চারটি মাযহাবের মধ্যে বিলীন হযে যায় ।   যেমনঃ- ইমাম সুফিয়ঙান সাওরী, ইমাম হাসান বসরি, ইমাম আওয়াযী- এর মাযহাব । এ তিনটি মাযহাব হিজরী তৃতীয় শতক পর্যন্ত চালু ছিল । ইমাম আবু সাওর এর মাযহাবও তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত চালু ‍ছিল ।
ঐতিহাসিক ইবনে খালদুনের খবর মতে ইমাম দাউদ যাহেরীর মাযহাব হিজরী ৮ম শতাব্দি পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল । তাছড়াও ইসহাক ইবনে রাহওয়ার, সুফইয়ান ইবনে ওয়াইনা, ইবনে জারীর তাবারী, লাইস ইবনে সাদ, তাদের মাযহাবও কিছুদিন চালু ছিল । পরবর্তিতে এ চারটি মাযহাব টিকে যায় । তাদের অনুস্বারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে । তাদের আলেমগণ জনসাধোরণর জন্য উক্ত চার মাযহবের যে কোন একটির অনুসরণ বা তাক্বলীদ (অন্ধ অনুস্বরণ) করাকে ফরজ বলে ফতোয়া প্রদান করেন । যা ইসলামের দৃষ্টিতে সমর্থনীয় ছিলনা । আবুল ফাৎহ মুহাম্মদ বিন আবুল হামান ইবনু দাক্বীদুল ঈদ (মৃঃ ৭০২ হিজরী) চার মাযহাবের প্রচলিত সহীহ হাদীস বিরোধী ফতোয়া সমুহের একটি বিরাট সংকলন তৈরী করে ছিলেন, যার ভূমিকাতে তিনি ঘোষনা করেন যে, এই মাসআলা গুলি চার ইমামের নামে চার মাযহবে চালু থাকলেও এগুলোকে তাঁদের দিকে সম্পর্কিত করা হারাম । এগুলির মাধ্যেমে তাঁদের ওপরে মিথ্যারোপ করা হয়েচে মাত্র যেমানঃ দুররেমুখতারে কুরআন হাদীস বিরোধী পঞ্চাশটি মাসআলা সয়েছে । হেদায়াতে বর্ণিত ১০০ মাসায়েল হাদীস বেরোধী । আল্লামা তাফতাজানী শারাবী, ওয়ালিউল্লাহ দেহলোভী, মোল্লা মুঈন সিন্ধী, আবদুল হাই লক্ষৌবী প্রমুখ বিদ্বানগণ সকলে একথা স্বীকার করেছেন ।

পাঠকদের জ্ঞাতার্থে হানাফী মাযহবের কিতাবে হাদীস বিরোধী ফতোয়ার কিছু নমুনা নিমেন তুলে ধরা হলোঃ-

হেদায়াঃ- আবু হানিফার মৃত্যুর ৪০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার মনুনঃ- যদি কোন ব্যক্তি মাতা, ভগ্নি, নিজের কন্যা ও খালা ফুফুকে বিবাহ করে যৌন সঙ্গম তাহলে ইমাম আবু হানিফার মতে, হদ জারি করা হবেনা । (হেদায়া ১ম খন্ড ৪৯৬ পৃঃ মোস্তফায়ী ছাপা)
কাযী খাঁঃ- আবু হানিফা (রঃ) এর মৃত্যুর ৪০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার নমুনাঃ- স্ত্রী নিদ্রিত ও পাগলিনী অবস্থায় তার স্বামী (রোযা অবস্থায়) যৌন মিলন করলে কাফফারা লাগবেনা এবং রোযাও নষ্ট হবে না । (কাযী খাঁ: ১ম খন্ড, পৃঃ ১১০ মিসরী ছাপা)
শরহে বেকায়াঃ- আবু হানিফা (রঃ) এর মৃত্যুর ৬০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার নমুনাঃ- যদি কোন লোক মৃত স্ত্রীলোকের অথবা চতুষ্পদ জন্তুর স্ত্রী অঙ্গে  বা অন্য কোন দ্বারে রোযা অবস্থায় বলৎকার করে তাহলে তার রোযা নষ্ট হবে না । (শরহে বেকায়াঃ ১ম খন্ড পৃঃ ২৩৮ লক্ষৌর এর ইউসুফী ছাপা)
দুররে মুখতারঃ- আবু হানিফা (রঃ) মৃত্যুর ৯০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার নমুনাঃ- অঙ্গুলি ও স্ত্রী লোকের স্তন মলমূত্র দ্বারা নাপাক হয়ে গেলে তিন বার জিব দিয়ে চেটে দিলে পাক হয়ে যাবে (দুররে মুখতার বাবুল আনজাসে, পৃঃ৩৬)
হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন- ইমামের যোগ্য সেই ব্যক্তি হবে ‍যিনি ভালো কুরআন পড়তে পারেন । যদি কুরআন পড়ায় সমান হয় তাহলে যিনি বেশি জ্ঞানী, যদি জ্ঞানেও সমান হয় তাহলে প্রথমে হিজরত কারী যে হবে, এতেও যদি সমান হয় তাহলে ‍যিনি বয়সে বড় তিনিই ইমাম হবেন । (মুসলিম, মিশকাত)
কিন্তু হানাফী ফিকার কিতাবে একধাপ বাড়িয়ে বলা হয়- পূর্বের শর্তাবলী যদি সমান হয়, তাহলে দেখতে হবে কার বউ সুন্দরী । (দুররে মুখতার- পৃঃ ৪১৬), তাতেও যদি সমান হয়, তাহলে দেখতে হবে কার মাথা বড় এবং পুরুষাঙ্গ ছোট । (দুররে মুখতার,তাহাবী ১ম খন্ড মিসরী ছাপা)

Peace TV খ্যাত ডাঃ জাকের নায়েকের সম্পর্কে বাংলাদেশের কিছু আলেম আছে, যারা তাঁর বিরোধিতা করে । তাদের আসল চেহারা চেনার জন্য আমার এই লেখা । জারা ডাঃ জাকের নায়েকের বিরোধিতা করে আসছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো এই দুই ব্যক্তি । মাওঃ নূরুল ইসলাম ওলীপুরী ও মুফতী মিজানুর রহমান কাশেমী । তাঁরা নিজেদের কে অনেক বড় আলেম মনে করে । আসুন তাদের আসল চেহারা আমরা চিনে নেই ।

*মাওঃ নূরুল ইসলাম ওলীপুরী ও মুফতী মিজানুর রহমান কাশেমী কে ???

নূরুল ইসলাম ওলীপুরী ঢাকা লালবাগ কওমী মাদ্‌রাসা হতে দাওরায়ে হাদীস পাশ, আর মুফতী কাশেমী হলো - শায়খুল হাদীস আজিজুল হক সাহেবের প্রতিষ্ঠান জামেয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্‌রাসার মুফতি । পরবর্তীতে তাবলীগ ও পীর ভক্তদের নিকট ওলীপুরী সাহেব মুফাচ্ছির মুনাযিরে জামান আর কাশেমী সাহেব মুফতি এ আজম উপাধিতে ভূষিত হন । 
যদিও ওলীপুরী ও কাশেমী সাহেব দেশের বিশেষ কোন আলেমদের সাথে মুনাযারা করেন নি । তবে ওলীপুরী সাহেব মুনাযারা করেছে নেত্রকোনার ব্রেলভী গ্রুপের ভ্রান্ত আলেম আলী হুসেন রেজভীর সাথে । তাও আবার কুরআন হাদীস এর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নয়, মুনাযারর হয়েছে ইলিয়াসী তাবলীগ  ও দেওবন্দীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার কারণে। উল্লেখ্য যে, ওলীপুরী ও কাশেমী সাহেব হলো ইলিয়াসী তাবলীগ ও দেওবন্দীদের  ভক্ত । ব্রেলভী ও দেওবন্দী উভয় দলের আক্বীদাই ভ্রান্ত । আক্বীদার দিক দিয়ে মনে হয় দেওবন্দী ও ব্রেলভী এ দুইটি ভ্রান্ত মতবাদই এক মায়ের দুটি জমজ সন্তন ।
তাই বলা চলে ওলীপুরী সাহেব রেজভীর সাথে বাহাস বা মুনারাযারা করা যেন নাপাক ‍দিয়ে নাপাক ধৌত করা ্ যা কখনো পাক হওয়ার নয় । ওলীপুরী ও কাশেমী সাহেব মুনাযিরে জামান ও মুফতি আজম হলেও তাদেরই মাযহাবের পীর জিল্লুর সহমান রাজারবাগী ইলিয়াসী তাবলীগ ও দেওবন্দীদের বিরুদ্ধে মুনাযারায় যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে । সেই চ্যালেঞ্জ কিন্তু তাবলীগ ও দেওবন্দী ভক্ত ওলীপুরী ও কাশেমী সাহেব গ্রহণ করতে পারে নাই । যে ব্যক্তিরা সূফীদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে না । তারাই নাকি তাওহীদবাদী জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে কথা বলে ।
এখানে বলা আবশ্যক যে, ওলীপুরী ও কাশেমী সাহেব মূলত দুটি ভ্রান্ত আক্বীদার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে । একটি হচ্ছে দেওবন্দী অন্যটি হচ্ছে ব্রেলভী । ব্রেলভীদের ভ্রান্ত আক্বীদা সম্পর্কে উপমহাদেশের অনেকে সতর্ক থাকলেও  দেওবন্দীদের ভ্রান্ত আক্বীদা সম্পর্কে লোকজন সতর্ক নয় । কেননা সাধারণ লোকজন তাদের লেবাছের ‍দিকে আকৃষ্ট হয়ে তাদের সম্পর্কে সু-ধারণা রাখে । অথচ তাদের লেবাছের ভিতরে ভ্রান্ত আক্বীদা লুকায়িত আছে । তা জ্ঞানীদের জানা থাকলেও সাধারন মানুষের অজানা । দেওবন্দী আক্বীদাও ইলিয়াসের স্বপ্নের ধর্ম তাবলীগের ভ্রান্ত আক্বীদার দাওয়াতের প্রধান দাঈ হলেন এই ওলীপুরী ও কাশেমী । 

Thursday, June 21, 2012

*সুখ অন্বেষণ ।

বিঃ দ্রঃ- এই পোষ্টটি আমার সংগ্রহ করা লিখা থেকে দিয়েছি, তবে আমার পাঠক বৃন্দের কাছে আমার প্রশ্ন রইল যে,
আসলে সুখ কি ?? সুখ কি কেহ অন্বেষণ করে পেতে পারে ???

রাতের শেষ প্রহর চলছিল । গভীর ঘুমে নিমগ্ন ছিল পৃথিবী । রাতের প্রহরী ঝিঁঝি পোকারাও থামিয়েছিল তাদের গান, ডাহুক পাখিরা বন্ধ করেছিল তাদের করুণ কান্না । নিঝুম অন্ধকার আকাশের তারাগুলো মিটিমিটি জ্বলছিল । তবে সে আলোয় কিছু দেখা যাচ্ছিল না । মৃদু মৃদু হিমেল হাওয়ায় বেশ শীতলতাই লাগছিল । একাই বসে ছিলাম উন্মুক্ত ছাদের ওপর । যদিও শরীরটা হালকা শন শন করছিল, তবুও ইচ্ছা হয়ুন নিঝুম অন্ধকার নির্জন প্রকৃতির মাঝ থেকে সরে আসতে । তাকিয়ে ছিলাম ডজন ডজন মাইল দূর ওই আকাশের নক্ষত্রের দিকে । আর ভাবছিলাম চাঁদের আলোয় তো তারা দেখা যায় । সূবেয়র আলোয় কি তারা দেখা যায় ? মনে হচ্ছিল জীবনের সুখ যেন দূরের ওই নক্ষের মতোই । আধাঁর ছাড়া ধরা দেয় না, আবার তার আলো দিয়ে সবটুকু আাঁধার মুছে দেয় না । ভাবছিলাম জীনটা যুদ সিনেমার মতো হতো, তাহলে জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট মাত্র তিন ঘন্টায় অবসান হয়ে যেত । জীবনের কাহিনী কি সিনেমার মতো ? হয়তো !! কিন্তু জীবন তো আর সিনেমার ফিল্ম না । কেন যে জীবন এত লম্বা সময়ের হলো ? উদাসী মনে এত সব তভাবতে ভাবতে দু নযন থেকে ঝরে পড়ছিল লোনা জল ।হৃদয়ের কোনো এক নিভৃত কোণ শূন্য হয়ে পড়ে আছে । আজও তা পূরণ করার প্রয়াস চালিযে যাচ্ছি । হয়তো  ব্যর্থ চেষ্ট সব ! আজকাল বন্ধুদের সঙ্গে সেই আগের মতো কুমার নদীর পাড়ে বসে আড্ডা অথবা বিনোদন আর ভালো লাগে না ।
অধিক সময়ই মৌনতার চাদরে ডুবে ডুবে অতীতের একান্ত স্মৃতিগুলোই ভাবি । স্মৃতি শুধু বেদনা দিতে জানে, সুখ দিতে জানে না, তবুও কেন জানি মনে হয় স্মৃতি বেদনার মাঝেই প্রকৃতির সুখ লুকিয়ে আছে । আজকের মৌনতার সঙ্গে নিঃসঙ্গতা ভর করে শ্বাসরুদ্ধ করে তুলেচে আমাকে । তাই ইচ্ছা করছিল দৃপ্ত কন্ঠে ওই নাম ধরে ডাক ‍দিয়ে সমস্ত মৌনতার অন্তিম ঘটিয়ে প্রাণের অনন্ত তৃষ্ঞা মিটিয়ে নিই ।
আর কিছুক্ষণ পরেই রুপালি ঝর্ণার মতো চিকচিকে সকাল নামবে আকাশের গা বেয়ে । সন্ধ্যার ম্লান আভা থেকে রজনীর শেষ প্রহর পর্যন্ত অনেক প্রশ্নরুদ্ধ হয়েছি নিজের কাছে । মেলাতে পারিনি সেসব প্রশ্নের উত্তর । তোমার নিষেধাজ্ঞা তাই তো অভিমানী মন নিয়ে তোমাকেও ছুড়ে দিলাম না নতুন কোনো প্রশ্ন । সারাজীবন তোমার অন্বেষণে ঘন অরণ্যের মধ্যে চরণ চিহ্নহীন অনেক পথ হেঁটেছি । তবে আর কত নদী, সমুদ্র-পর্বত উলঙ্ঘন করলে তোমার হৃদয় দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারব তা আজও অজানাই রয়ে গেল । বক্ষে বজ্র বেদনা নিয়ে যখন বসন্তের উদাসী দুপুর কিংবা বিকেলের হাওয়ায় ঘুরে দাঁড়াই তখন একটা শব্দই আমার কানে বাজে-পরিত্যক্ত সময়ের সাড়া । যেখানে হাসি ছিল, আনন্দ ছিল আর জীবনের সুখপাখি হয়ে এ হৃদয়ে তুমি শান্তির নীড় বেঁধেছিলে আমাকে রঙিন স্বপ্ন দেখাতে, পাশে বসিয়ে সুমধুর কন্ঠস্বরে গান শোনাতে, মুগ্ধ হতাম তোমার পায়ের নূপুরের শব্দ, কোমল হাতের ভঙ্গি আর মায়াবী চোখের চাহনিতে । আমিও সরল বিশ্বাসে তোমার অভয়বাণীতে সাড়া দিলাম ।
অবিশ্বাস্য সেই তুমি রুপালি ডানা মেলে উড়ে গেলে এ হৃদয় পিঞ্জর ছেড়ে । না জানি আজ অন্য কোন ‍হৃদয়ে শান্তির দূত হয়ে বাস করছ । শেষ পর্যন্ত তোমারই দেখানো একটি মাল্টিকালারের স্বপ্ন চির নিদ্রার হাতে খুন হলো । স্বপ্ন হারা হয়েও এলোমেলো উদাসী মনটা নিয়ে তোমার ফেরার প্রতীক্ষায় বসে থাকি বক্ষে আকুল তৃষ্ঞা নিয়ে । জানি এ আজ অসম্ভব । যেমন অমাবস্যা রাতে পূর্ণিমা চাঁদের  দেখা মেলে না তাই তো ভাবনার অনেক গভীরে ডুব দিয়ে একটি নতুন হৃদয় খুঁজে পেয়েছি, জীবনের কোমল কম্পনকে ধরে রাখার জন্য । সেখানে যদিও কেউ নেই তুমি অথবা অন্য কেই । নতুন সে হৃদয়টি হলো-বকরঙের কাগজ আর কলমের কোকিল বর্ণের কালি । কোমলিকা, ও কোমলিকা, মনে পড়ে আমাকে ? সেই তাকে প্রতিদিন বিকেল বেলা কুমার নদীর পাড়ে তোমার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকত যে, আর নিদরুণ ভালোবাসত তোমাকে ।
=======================================================