লা মাযহাবী তথা ইসলামের চার মাযহাব সম্পর্কে কিছু কথা ।
(১) প্রথম ফিকহী দল হানাফী মাযহাবঃ- ইমাম আবু হানিফা (রঃ) (জন্ম ৮০ হিজরী) নিজে কোন মাযহাব প্রতিষ্ঠঠা করে যাননি । তাঁর মৃত্যুর ৪০০ হিজরীর পর ইরাকের হামীদ বিন সুলাইমান হানাফী মাযহাবের নাম করণ করেন । পরবর্তীতে আব্বাসীয় খলিফাগণ এই মাযহাবের স্বীকৃতি দান করেন । (ইসলামের ইতিহাস পৃঃ ৩১২ তাবারেক আলী) । ইমাম সাহেব নিজ হস্তে কোন গ্রন্থও লিখে যাননি । ফিকুহুল আকবর গ্রন্থখানি আবু মুতীব বালখীর লেখা, ইহা দশম শতাব্দিতে লিখা হয়েছে ।
(২) দ্বীতিয় ফিকহী দল মালিকী মাযহাবঃ- ইমার মালিক ইবনে আনাস (রঃ) (জন্ম হিঃ ৯৩ ) স্পেনের খলিফা হিশাম ইবনে আব্দুর রহমান, মালিকী মাযহাব অনুসরণ করার নির্দেশ জারি করেন ।
(৩) তৃতীয় ফিকহী দল হাম্বলী মাযহাবঃ- ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস (রঃ) (জন্ম ১৫০ হিজরী) দলাদলীতে প্রশ্রয়প্রাপ্ত ভক্ত শাগরিদগণই ক্রমশ এ মাযহবকে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলেন ।
(৪) চতুর্থ ফিকহী দল হাম্বলী মাযহাবঃ- ইমাম হাম্বল ইবনে হাম্বল (রঃ) (জন্ম ২৪১ হিজরী) তাঁর মৃ্ত্যুর পর তাঁর হাজার হাজার শিষ্য শাগরিদ তাঁর মাযহাবকে পুপ্রতিষ্ঠিত করেন।
এ চারটি মাযহাব ছারাও আরও কয়েকটি মাযহাবের উদ্ভব ঘটেছিল যা পরবর্বিতে উপরোক্ত চারটি মাযহাবের মধ্যে বিলীন হযে যায় । যেমনঃ- ইমাম সুফিয়ঙান সাওরী, ইমাম হাসান বসরি, ইমাম আওয়াযী- এর মাযহাব । এ তিনটি মাযহাব হিজরী তৃতীয় শতক পর্যন্ত চালু ছিল । ইমাম আবু সাওর এর মাযহাবও তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত চালু ছিল ।
ঐতিহাসিক ইবনে খালদুনের খবর মতে ইমাম দাউদ যাহেরীর মাযহাব হিজরী ৮ম শতাব্দি পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল । তাছড়াও ইসহাক ইবনে রাহওয়ার, সুফইয়ান ইবনে ওয়াইনা, ইবনে জারীর তাবারী, লাইস ইবনে সাদ, তাদের মাযহাবও কিছুদিন চালু ছিল । পরবর্তিতে এ চারটি মাযহাব টিকে যায় । তাদের অনুস্বারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে । তাদের আলেমগণ জনসাধোরণর জন্য উক্ত চার মাযহবের যে কোন একটির অনুসরণ বা তাক্বলীদ (অন্ধ অনুস্বরণ) করাকে ফরজ বলে ফতোয়া প্রদান করেন । যা ইসলামের দৃষ্টিতে সমর্থনীয় ছিলনা । আবুল ফাৎহ মুহাম্মদ বিন আবুল হামান ইবনু দাক্বীদুল ঈদ (মৃঃ ৭০২ হিজরী) চার মাযহাবের প্রচলিত সহীহ হাদীস বিরোধী ফতোয়া সমুহের একটি বিরাট সংকলন তৈরী করে ছিলেন, যার ভূমিকাতে তিনি ঘোষনা করেন যে, এই মাসআলা গুলি চার ইমামের নামে চার মাযহবে চালু থাকলেও এগুলোকে তাঁদের দিকে সম্পর্কিত করা হারাম । এগুলির মাধ্যেমে তাঁদের ওপরে মিথ্যারোপ করা হয়েচে মাত্র যেমানঃ দুররেমুখতারে কুরআন হাদীস বিরোধী পঞ্চাশটি মাসআলা সয়েছে । হেদায়াতে বর্ণিত ১০০ মাসায়েল হাদীস বেরোধী । আল্লামা তাফতাজানী শারাবী, ওয়ালিউল্লাহ দেহলোভী, মোল্লা মুঈন সিন্ধী, আবদুল হাই লক্ষৌবী প্রমুখ বিদ্বানগণ সকলে একথা স্বীকার করেছেন ।
পাঠকদের জ্ঞাতার্থে হানাফী মাযহবের কিতাবে হাদীস বিরোধী ফতোয়ার কিছু নমুনা নিমেন তুলে ধরা হলোঃ-
হেদায়াঃ- আবু হানিফার মৃত্যুর ৪০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার মনুনঃ- যদি কোন ব্যক্তি মাতা, ভগ্নি, নিজের কন্যা ও খালা ফুফুকে বিবাহ করে যৌন সঙ্গম তাহলে ইমাম আবু হানিফার মতে, হদ জারি করা হবেনা । (হেদায়া ১ম খন্ড ৪৯৬ পৃঃ মোস্তফায়ী ছাপা)
কাযী খাঁঃ- আবু হানিফা (রঃ) এর মৃত্যুর ৪০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার নমুনাঃ- স্ত্রী নিদ্রিত ও পাগলিনী অবস্থায় তার স্বামী (রোযা অবস্থায়) যৌন মিলন করলে কাফফারা লাগবেনা এবং রোযাও নষ্ট হবে না । (কাযী খাঁ: ১ম খন্ড, পৃঃ ১১০ মিসরী ছাপা)
শরহে বেকায়াঃ- আবু হানিফা (রঃ) এর মৃত্যুর ৬০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার নমুনাঃ- যদি কোন লোক মৃত স্ত্রীলোকের অথবা চতুষ্পদ জন্তুর স্ত্রী অঙ্গে বা অন্য কোন দ্বারে রোযা অবস্থায় বলৎকার করে তাহলে তার রোযা নষ্ট হবে না । (শরহে বেকায়াঃ ১ম খন্ড পৃঃ ২৩৮ লক্ষৌর এর ইউসুফী ছাপা)
দুররে মুখতারঃ- আবু হানিফা (রঃ) মৃত্যুর ৯০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার নমুনাঃ- অঙ্গুলি ও স্ত্রী লোকের স্তন মলমূত্র দ্বারা নাপাক হয়ে গেলে তিন বার জিব দিয়ে চেটে দিলে পাক হয়ে যাবে (দুররে মুখতার বাবুল আনজাসে, পৃঃ৩৬)
হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন- ইমামের যোগ্য সেই ব্যক্তি হবে যিনি ভালো কুরআন পড়তে পারেন । যদি কুরআন পড়ায় সমান হয় তাহলে যিনি বেশি জ্ঞানী, যদি জ্ঞানেও সমান হয় তাহলে প্রথমে হিজরত কারী যে হবে, এতেও যদি সমান হয় তাহলে যিনি বয়সে বড় তিনিই ইমাম হবেন । (মুসলিম, মিশকাত)
কিন্তু হানাফী ফিকার কিতাবে একধাপ বাড়িয়ে বলা হয়- পূর্বের শর্তাবলী যদি সমান হয়, তাহলে দেখতে হবে কার বউ সুন্দরী । (দুররে মুখতার- পৃঃ ৪১৬), তাতেও যদি সমান হয়, তাহলে দেখতে হবে কার মাথা বড় এবং পুরুষাঙ্গ ছোট । (দুররে মুখতার,তাহাবী ১ম খন্ড মিসরী ছাপা)
(১) প্রথম ফিকহী দল হানাফী মাযহাবঃ- ইমাম আবু হানিফা (রঃ) (জন্ম ৮০ হিজরী) নিজে কোন মাযহাব প্রতিষ্ঠঠা করে যাননি । তাঁর মৃত্যুর ৪০০ হিজরীর পর ইরাকের হামীদ বিন সুলাইমান হানাফী মাযহাবের নাম করণ করেন । পরবর্তীতে আব্বাসীয় খলিফাগণ এই মাযহাবের স্বীকৃতি দান করেন । (ইসলামের ইতিহাস পৃঃ ৩১২ তাবারেক আলী) । ইমাম সাহেব নিজ হস্তে কোন গ্রন্থও লিখে যাননি । ফিকুহুল আকবর গ্রন্থখানি আবু মুতীব বালখীর লেখা, ইহা দশম শতাব্দিতে লিখা হয়েছে ।
(২) দ্বীতিয় ফিকহী দল মালিকী মাযহাবঃ- ইমার মালিক ইবনে আনাস (রঃ) (জন্ম হিঃ ৯৩ ) স্পেনের খলিফা হিশাম ইবনে আব্দুর রহমান, মালিকী মাযহাব অনুসরণ করার নির্দেশ জারি করেন ।
(৩) তৃতীয় ফিকহী দল হাম্বলী মাযহাবঃ- ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস (রঃ) (জন্ম ১৫০ হিজরী) দলাদলীতে প্রশ্রয়প্রাপ্ত ভক্ত শাগরিদগণই ক্রমশ এ মাযহবকে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলেন ।
(৪) চতুর্থ ফিকহী দল হাম্বলী মাযহাবঃ- ইমাম হাম্বল ইবনে হাম্বল (রঃ) (জন্ম ২৪১ হিজরী) তাঁর মৃ্ত্যুর পর তাঁর হাজার হাজার শিষ্য শাগরিদ তাঁর মাযহাবকে পুপ্রতিষ্ঠিত করেন।
এ চারটি মাযহাব ছারাও আরও কয়েকটি মাযহাবের উদ্ভব ঘটেছিল যা পরবর্বিতে উপরোক্ত চারটি মাযহাবের মধ্যে বিলীন হযে যায় । যেমনঃ- ইমাম সুফিয়ঙান সাওরী, ইমাম হাসান বসরি, ইমাম আওয়াযী- এর মাযহাব । এ তিনটি মাযহাব হিজরী তৃতীয় শতক পর্যন্ত চালু ছিল । ইমাম আবু সাওর এর মাযহাবও তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত চালু ছিল ।
ঐতিহাসিক ইবনে খালদুনের খবর মতে ইমাম দাউদ যাহেরীর মাযহাব হিজরী ৮ম শতাব্দি পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল । তাছড়াও ইসহাক ইবনে রাহওয়ার, সুফইয়ান ইবনে ওয়াইনা, ইবনে জারীর তাবারী, লাইস ইবনে সাদ, তাদের মাযহাবও কিছুদিন চালু ছিল । পরবর্তিতে এ চারটি মাযহাব টিকে যায় । তাদের অনুস্বারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে । তাদের আলেমগণ জনসাধোরণর জন্য উক্ত চার মাযহবের যে কোন একটির অনুসরণ বা তাক্বলীদ (অন্ধ অনুস্বরণ) করাকে ফরজ বলে ফতোয়া প্রদান করেন । যা ইসলামের দৃষ্টিতে সমর্থনীয় ছিলনা । আবুল ফাৎহ মুহাম্মদ বিন আবুল হামান ইবনু দাক্বীদুল ঈদ (মৃঃ ৭০২ হিজরী) চার মাযহাবের প্রচলিত সহীহ হাদীস বিরোধী ফতোয়া সমুহের একটি বিরাট সংকলন তৈরী করে ছিলেন, যার ভূমিকাতে তিনি ঘোষনা করেন যে, এই মাসআলা গুলি চার ইমামের নামে চার মাযহবে চালু থাকলেও এগুলোকে তাঁদের দিকে সম্পর্কিত করা হারাম । এগুলির মাধ্যেমে তাঁদের ওপরে মিথ্যারোপ করা হয়েচে মাত্র যেমানঃ দুররেমুখতারে কুরআন হাদীস বিরোধী পঞ্চাশটি মাসআলা সয়েছে । হেদায়াতে বর্ণিত ১০০ মাসায়েল হাদীস বেরোধী । আল্লামা তাফতাজানী শারাবী, ওয়ালিউল্লাহ দেহলোভী, মোল্লা মুঈন সিন্ধী, আবদুল হাই লক্ষৌবী প্রমুখ বিদ্বানগণ সকলে একথা স্বীকার করেছেন ।
পাঠকদের জ্ঞাতার্থে হানাফী মাযহবের কিতাবে হাদীস বিরোধী ফতোয়ার কিছু নমুনা নিমেন তুলে ধরা হলোঃ-
হেদায়াঃ- আবু হানিফার মৃত্যুর ৪০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার মনুনঃ- যদি কোন ব্যক্তি মাতা, ভগ্নি, নিজের কন্যা ও খালা ফুফুকে বিবাহ করে যৌন সঙ্গম তাহলে ইমাম আবু হানিফার মতে, হদ জারি করা হবেনা । (হেদায়া ১ম খন্ড ৪৯৬ পৃঃ মোস্তফায়ী ছাপা)
কাযী খাঁঃ- আবু হানিফা (রঃ) এর মৃত্যুর ৪০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার নমুনাঃ- স্ত্রী নিদ্রিত ও পাগলিনী অবস্থায় তার স্বামী (রোযা অবস্থায়) যৌন মিলন করলে কাফফারা লাগবেনা এবং রোযাও নষ্ট হবে না । (কাযী খাঁ: ১ম খন্ড, পৃঃ ১১০ মিসরী ছাপা)
শরহে বেকায়াঃ- আবু হানিফা (রঃ) এর মৃত্যুর ৬০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার নমুনাঃ- যদি কোন লোক মৃত স্ত্রীলোকের অথবা চতুষ্পদ জন্তুর স্ত্রী অঙ্গে বা অন্য কোন দ্বারে রোযা অবস্থায় বলৎকার করে তাহলে তার রোযা নষ্ট হবে না । (শরহে বেকায়াঃ ১ম খন্ড পৃঃ ২৩৮ লক্ষৌর এর ইউসুফী ছাপা)
দুররে মুখতারঃ- আবু হানিফা (রঃ) মৃত্যুর ৯০০ বছর পর লেখা হয়েছে ।
মাসয়ালার নমুনাঃ- অঙ্গুলি ও স্ত্রী লোকের স্তন মলমূত্র দ্বারা নাপাক হয়ে গেলে তিন বার জিব দিয়ে চেটে দিলে পাক হয়ে যাবে (দুররে মুখতার বাবুল আনজাসে, পৃঃ৩৬)
হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন- ইমামের যোগ্য সেই ব্যক্তি হবে যিনি ভালো কুরআন পড়তে পারেন । যদি কুরআন পড়ায় সমান হয় তাহলে যিনি বেশি জ্ঞানী, যদি জ্ঞানেও সমান হয় তাহলে প্রথমে হিজরত কারী যে হবে, এতেও যদি সমান হয় তাহলে যিনি বয়সে বড় তিনিই ইমাম হবেন । (মুসলিম, মিশকাত)
কিন্তু হানাফী ফিকার কিতাবে একধাপ বাড়িয়ে বলা হয়- পূর্বের শর্তাবলী যদি সমান হয়, তাহলে দেখতে হবে কার বউ সুন্দরী । (দুররে মুখতার- পৃঃ ৪১৬), তাতেও যদি সমান হয়, তাহলে দেখতে হবে কার মাথা বড় এবং পুরুষাঙ্গ ছোট । (দুররে মুখতার,তাহাবী ১ম খন্ড মিসরী ছাপা)
No comments:
Post a Comment