Thursday, February 18, 2016

ভাগ্যের অপেক্ষা

আমাদের সবারিই অনেক বড় বড় স্বপ্ন থাকে, এবং সবার স্বপ্ন গুলো খুব সুন্দর থাকে | এবং স্বপ্নের রং গুলো অনেক রঙিনময় হয় | সবাই স্বপ্ন দেখে আমি বড় হয়ে অনেক কিছু করব | আবার যারা একটু বড় হয়েছে বা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে তারা স্বপ্ন দেধে আমি টাকা-পয়সা হলে আমার থাকার স্থান টাকে অনেক উন্নত করবো, আমার মনের মতো করে সাজিয়ে তুলবো | এর সাথে সবারিই একটি গাড়ী এবং একটি বড়ী করার স্বপ্নও থাকে |
এখনে সবার মতো আমারো অনেক স্বপ্ন আছে, আর থাকাটাই স্বাভাবিক।মানুষের এই স্বপ্ন পূরনের পুরটাই নির্ভর করে ভাগ্যর উপর। আসলে ভাগ্য জিনিসটা কি ?? আমার মনে এটা নিয়ে খুব প্রশ্ন জাগে | আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলা-ফেরা করি | কথন অনেক মানুষকেইতো দেখি ভিক্ষা করছে, ভিক্ষা করতে করতে সে এখন বৃদ্ধ বয়সে উপনিত হয়েছে | তহলে কি তারা ভাগ্যকে উন্নতি করার জন্য প্রয়াস চালায়নি..?? নিশ্চয়ই করেছে, আর যদি করেই থাকে | তহলে কেন তারা এতাদিনে এই অবস্থাতে ...!! কেন তাদের ভগ্যের পরিবর্তন হয়েনি....!! আমি পথে হাজার হাজার মানুষকে চলতে ফিরতে দেখি, যারা বাসের দরজায় হ্যান্ডেল ধরে ঝু্লে ঝুলে চলে । আবার অনেকে টাকার অভাবে পুরো পথ হেটে চলাফেরা করে | তাহলে তারা কি সারাজীবন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য চেষ্ট করেনি ....?? কেন তারা এতো কষ্ট করে পাঁয়ে হেটে এতো দূরের পথে চলে | এখানে আমার মতামত বা আমার বক্তব্য অবশ্যই তারা চেষ্টা করেছে, জীবনের গতিটাকে উন্নতি করার জন্য | আমার চোখে দেখা একটি মানুষকেও আমি দেখিনি যে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করেনি বা করছে না | অবশ্য করে এখানে ভাগ্য নিয়ে আমার দর্শন আলোচনা করবো........................
তার আগে আমি একটু বলতে চাই যে, আমরা যেহেতু ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসি, আমাদের অবশ্যই ইসলামের কথার উপর বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা থাকতে হবে | কারণ মহান আল্লাহ যা বলেছেন, তার ভিতর কোন সন্দেহ নেই | ইসলামে তাক্বদীর বা ভাগ্য বলে একটি কথা আছে | ইসলামে দুই ধরনের তাক্বদীর বা ভাগ্য আছে | যার একটি একটি আল্লাহ তায়ালা সকলের জন্য নির্ধারন করে রেখেছেন।আরেকটি হলো মানুষের উপর ছেরে দেয়া হয়েছে, যা কিনা তার নিজ চেষ্টায় পরিবর্তন করতে পারে। এখানে আমি প্রথম টার সাথেই একমত, ভাগ্য আসলে শুধুই নির্ধারিত এবং তার জন্য যা নির্ধারন করে রাখা আছে, সেটাই সে কেবল পাবে। এর চেয়ে বেশী কিছু না। যদি দ্বিতীয়টা সত্যিই হতো, তাহলে মানুষের ভাগ্য সবারটাই পরিবর্তন হতো। এবং আমি দেখতাম না যে, একটা মানুষ তার যৌবন কাল থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল হলেই তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য প্রাণ পন চেষ্টা করেই যাচ্ছে, সকাল হলেই বাসের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে তার কর্মস্থলে যাচ্ছে। এবং সেটা তার যৌবন থেকে বৃদ্ধ কাল পর্যন্ত। এবং আমি এটাও দেখতাম না একটা মানুষ তার শিশুকাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শুধু ভিক্ষা করেই যাচ্ছে। তাহলে তারা কি সারা জীবন ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য চেষ্ট করেনি ?? অবশ্যই করেছে। তাহলে চেষ্টার দ্বারা সত্যিই যদি তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করা যেত । তাহলে অবশ্য পরিবর্তন হতো।
আমি জীবনে অনেক দেখেছি, অনেকে অনেক টাক পয়সা আয় করে কিন্তু সে তার সাথে সাথে সমপরিমান কিংবা তার চেয়ে বেশী ঋনী থাকে, কেন ? তাহলে তার মানেকি এই দারায়না যে, সে যতোই চেষ্টা করুকনা কেন !! তার ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না ।এভাবেই সারাজীবন ধার দেনার ভিতরেই কেটে যাব !! আমার জীবনে আমি এমন অনেক দেখিছি সারাজীবন ভাগ্যের পরিবর্তন করেও ভাগ্যকে আর বদলাতে পারেনি।
তাই আমার কাছে মনে হয় আমরা যতোই ভাগ্য ভাগ্য বলে আওয়াজ করিনা কেন, যতোই পরিবর্তনের চেষ্টা করিনা কেন, আসলে ভাগ্যের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উপর থেকেই সেট করা। তাই ভাগ্যের পিছনে না ছুটে নিজের জীবনকে তার আপন গতিতে ছেড়ে দেয়াই ভালো।


Nurul Huda
About Me