Monday, August 8, 2016

টেমস্‌ নদীর পার দিয়ে শুরু আবিস্কারের পথচলা

ডেভিড একজন সাধারন মানুষ, শুধু সাধারন বল্লে চলবে না, অনেক বেশী সাধারন একজন। ডেভিড এর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো ই্ংল্যান্ডের টেমস্‌ নদী। সে সবসময় ঐ নদীর পারে বসে নিজেকে নিয়ে ভাবে, নিজের সব কিছু নিয়ে অনেক গবেষণা করে থাকে। নিজেকে নিয়ে ডেভিড খুব বেশী চিন্তিত। কারন ডেভিড এর ভবিষ্যত উন্নতির দিকে যেতে হলে তাকে অনেক বেশী বেশী নিজেকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আর যদি কোন ভালো-মন্দ পদক্ষেপ নিতে হয়,সেটা নিয়েও সে অনেক বেশী ভাবে। আর ডেভিড এর এই নিজেকে নিয়ে ভাবার বা আবিস্কার করার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো সেই টেমস্ নদীর পার। কারন ডেভিড প্রকৃতি অনেক বেশী ভালোবাসে, তাই প্রকৃতির পাশে বসলে তার মন অনেকটা ভালো হয়ে যায়। তাছাড়া ডেভিড এর অতীতে যতো স্মৃতি যতো ভালো-মন্দ সব কিছুই সে এগুলি নিয়ে একা একা ভাবে।সেটা সেই নদীর পাড় বা অন্ন কোন নিরালা স্থানে বসেও ভাবতে। ভাবতে ডেভিড খুর বেশী পছন্দ করে।
ডেভিড ছেলিটির অনেক স্বপ্ন ছিলো,এখনো আছে, কিন্তু কোনদিন সে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবে প্রতিফলন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সে অনেক বেশী সন্দীহান। কারণ এই বাস্তবতার সময়ে ডেভিড কে কেহই বিন্দুমাত্র সাহায্য সহযোগীতা করেনা। ডেভিড অনেক চেষ্টা করেছে জীবনটাকে সাজাতে, অনেকের কাছে সাহয্য সহযোগীতা চেয়েছে। কিন্তু কোনদিন কারো কাছ থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা পায়নি। অনেকবার তার আপন নানীকেও বলেছে যে নাকি তার মায়ের চেয়েও বেশী কিছু। কিন্তু না সেখানে যেয়েও তার কোন কুল-কিনারা হয়নি। এক সময় ডেভিড অনুধাবন করতে পারলো যে কোন লাভ হবে না, তাই সে সিদ্ধান্ত নিল এখন থেকে একলাই চলবে। আসুক যতো বাঁধা জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়াই করেই যাবে।
ডেভিড এতোবেশী অসহায় কেন...!! অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে। ডেভিড এতোবেশী অসহায়ে অন্যতম কারন হলো, ডেভিড যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন থেকেই তার একাকীত্ম আর কষ্ট আর বিসর্জন দেয়ার জীবন শুরু হয়। তার কারন ডেভিড এর মা ডেভিডকে পৃথিবীর মুখ দেখিয়ে সাথে সাথে বিদায় নিয়ে যায়। আর ডেভিড এর বাবা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর একজন বাবা। আসলে তাকে বাবা বলা যায় না । একজন জন্মদাতা, কারন জন্ম সবাই দিতে পারে, কিন্তু বাবা হওয়ার মরজাদা সবাই পায়না। প্রতিদিন ইংল্যান্ডের হাসপাতাল গুলো অনেক শিশু পৃথিবীর আলো দেখার আগেই তাদেররে মেরে ফেলা হয়, তাদেরওতো জন্মদাতা আছে,তাইনা.......?? তাহলে বাবা হওয়াটা এতো সহজ না। এক কথায় বলা যায় যে ডেভিড এর বাবা ডেভিড কে অ-ঘোষিত তেইজ্য পুত্র করে রেখেছে। তাই ডেভিড এর জীবনে নেমে আসে দূর্যোগময় জীবন। ডেভিড এর বাবা দ্বীতিয় বিয়ে করেছিল, তাই সে তার দ্বিতীয় সংসার নিয়েই ব্যাস্ত। ডেভিড এর তার জীবনে কোন প্রয়োজন নেই। ডেভিড কে সে তার ভরন-পোষন দিয়ে বড় করতে পারবেনা বলে ডেভিড এর বাবা তার বাড় ভাইয়ের কাছে ডেভিড কে অঘোষিত ভাবে বিক্রি করে দেয়। বাবার বাড় ভাই অবশ্য ডেভিডকে পরাশুনা করিয়েছে। কিন্তু ডেভিড কে তার বিনিময়ে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা আর জীবনকে বিসর্জন দিতে হয়। যার কারণে ডেভিড কে এক কথায় বলা চলে সবাই ব্যাবহার করেছে। সর্বোচ্চ করেছে করুনা। তাই ডেভিড সাহসি কোন পদক্ষেপ আজওে জীবনে নিতে পারেনি। এখনো সবাই যে যেভাবে পারে ডেভিড কে সরল মনে ব্যাবহার করছে।

Thursday, May 26, 2016

অস্তিত্বে লড়াই।

প্রতিনিয়তই খুব ভয়ের উপর থাকি। এই বুঝি আমার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই বুঝি আমার সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। হায় হায় আমি এখন কি করবো, কোথায় যাবো .......!!! এই ধরনের চিন্তা ভাবনা সবসময় থাকেই । তার কারন আমিতো বৃত্তের যে বিন্দু, সেই বিন্দুতেই শুধু আমি আছি, আর আমার চারপাশ ফাকা। আশেপাশে কেহ নেই। বিপদের সময় যে বিশ্বস্ত কোন কাছের মানুষের কাছে গিয়ে সাহায্য চাবো, এমন কেহ নেই.......!! তাই সবসময় ভয়ের মধ্যেই থাকতে হয়। এই আতঙ্ক আর ভয় এখন প্রতিনিয়তই আমার সাথি। তাই অস্তিত্ব নিয়ে সঙ্কটময় জীবনটাই পার করছি।
নিজের উপর নিজেই কেমন জানি সন্দেহের সৃষ্টি হয়, আমি কি পাড়বো ? আমি কি এটা করতে পারবো ? নাকি হেড়ে যাবো ? সমসময় একটা দিধা দ্বন্দ্বের ভিতরেই থাকি। আমি জানি আমি এটা করতে পারবো, এমনকি করেও যাচ্ছি, মাঝে মাঝে প্রশাংসাও পাচ্ছি। কিন্তু নিজের মাঝে কেমন জেন একটা দিধা বা হেরে যাওয়ার একটা ভয় থেকেই যায়।
আমি এটাও জানি ভয়টা কেন থাকে, ভয়টা থাকার অন্যতম কারণ হলো। এইজে আমি অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই করছি, যদি হঠাৎ আমার চালার পথ বন্ধ হয়ে যায় বা নিজের আয় ইনকাম বন্ধ হয়ে যায়, তখন আমি কি করবো। এই যে একটা দিধা কাজ করে, যার কারনে অনেক ভয় লাগে।
যেদিন থেকে নিজের জীবনকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলাম, যেদিন থেকেই নিজের অস্বিত্ব নিজে টিকিয়ে রাখার একটা ভার এসে পড়ে, যদিও তখন অনেকে অনেক আশা দেখিয়ে ছিল, অনেক আশা দেখিয়ে ছিল, পাশে থাকবে, বিপদে হাত বাড়িয়ে দিবে। কিন্তু খুবিই অল্প কিছুদিন পড়ে আর তাদের কেও খুঁজে পাইনি। তাই তখন থেকেই নিজের অস্বিত্ব নিজের হাতেই তুলে নিয়ে ছিলাম। নেমে গিয়ে ছিলাম জীবন যুদ্ধে। যুদ্ধটা ছিল অনেক কঠিন, এতোটাই কঠিন তা একমাত্র মহান আল্লাহ্‌ তায়ালাই ভালো জানেন।
এক সময় মুরব্বিদের কাছে গল্প শুনতাম, তারা জীবনে অনেক কষ্ট করেছে, আমি মানি তারা কষ্ট করেছে। কিন্তু তাদের কষ্ট আর আমার কষ্টের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে, তারা যখন জীবন যুদ্ধ করেছে, তখন তারা গ্রামের পরিবেশেই বেশী কষ্ট আর জীবন যুদ্ধটা করেছে। এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের পাশে তাদের পরিবার ও ছিল । কিন্তু আমি যুদ্ধ করেছি ভিন্ন একটা পরিবেশে, আমি যুদ্ধ করেছি শহুরের পরিবেশে, আর তখন আধুনিক জীবন যাপন সমন্মিত শহুরে পরিবেশে জীবন যুদ্ধ করাটা অনক কঠিন ছিল। সবদিকে আকাশচুম্বি আকাংঙা, তাই নিত্য দ্রব্য থেকে শুরু করে সবদিকেই ছিল আকাশচুম্বি খরচ। সেই সময়টাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। অনেক। প্রতিনিয়তই ভয়ে থাকতাম, এই বুঝি আমি হার মানলাম, আর বুঝি সামনে এগুতে পারবো না। দিনে দিনে খরচ বেড়েই চলেছে। প্রথম দিকেতো কোন কিছুই করতাম না, অনেক সময় ধার দেনা করে চলা লাগতো।  এক সময় বুঝতে পারি আসলে পাশে এসে কেহই দাড়াবে না, দেখবে না আমার অবস্থা। তখন থেকেই নেমে পড়ি নতুন জীবনের নতুন অধ্যায়। শুরু করি আয় ইনকাম করার পথ, আল্লাহর রহমতে পেয়েও যাই। এবং আজ অবধি পেয়েই যাচ্ছি। কম হোক আর বেশী হোক। যদি মাঝে মাঝে পথটা বন্ধ হলেও আবার খুলে যায়। আসলে জীবনের অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখার খেলায় আর কেহ পাশে না থাকুক। এক মাত্র সৃষ্টি করতা মহান আল্লাহ্‌ তায়াল থাকলে আর কাওকেই লাগেনা । দরকার পড়েনা ।এটাই বাস্তব সত্য, চিরন্তর সত্য। এবং ইনশা আল্লাহ্‌ এই জীবনের অস্বিত্বের টিকে থাকার লাড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন থাকবেন। এটাই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি জানি কেহ আমার পাশে এসে আর দাড়াবে না। কিন্তু যতোদিন বাঁচবো পৃথিবীতে, ততোদিন নিজের অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখার লাড়ই করে যাবো। ইনশা আল্লাহ্‌।  কষ্ট এখন আর কষ্ট মনে হয়না । তাই জীবনটাকে কষ্টের মাঝেই উৎস্বর্গ করে দিলাম।

Thursday, February 18, 2016

ভাগ্যের অপেক্ষা

আমাদের সবারিই অনেক বড় বড় স্বপ্ন থাকে, এবং সবার স্বপ্ন গুলো খুব সুন্দর থাকে | এবং স্বপ্নের রং গুলো অনেক রঙিনময় হয় | সবাই স্বপ্ন দেখে আমি বড় হয়ে অনেক কিছু করব | আবার যারা একটু বড় হয়েছে বা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে তারা স্বপ্ন দেধে আমি টাকা-পয়সা হলে আমার থাকার স্থান টাকে অনেক উন্নত করবো, আমার মনের মতো করে সাজিয়ে তুলবো | এর সাথে সবারিই একটি গাড়ী এবং একটি বড়ী করার স্বপ্নও থাকে |
এখনে সবার মতো আমারো অনেক স্বপ্ন আছে, আর থাকাটাই স্বাভাবিক।মানুষের এই স্বপ্ন পূরনের পুরটাই নির্ভর করে ভাগ্যর উপর। আসলে ভাগ্য জিনিসটা কি ?? আমার মনে এটা নিয়ে খুব প্রশ্ন জাগে | আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলা-ফেরা করি | কথন অনেক মানুষকেইতো দেখি ভিক্ষা করছে, ভিক্ষা করতে করতে সে এখন বৃদ্ধ বয়সে উপনিত হয়েছে | তহলে কি তারা ভাগ্যকে উন্নতি করার জন্য প্রয়াস চালায়নি..?? নিশ্চয়ই করেছে, আর যদি করেই থাকে | তহলে কেন তারা এতাদিনে এই অবস্থাতে ...!! কেন তাদের ভগ্যের পরিবর্তন হয়েনি....!! আমি পথে হাজার হাজার মানুষকে চলতে ফিরতে দেখি, যারা বাসের দরজায় হ্যান্ডেল ধরে ঝু্লে ঝুলে চলে । আবার অনেকে টাকার অভাবে পুরো পথ হেটে চলাফেরা করে | তাহলে তারা কি সারাজীবন তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য চেষ্ট করেনি ....?? কেন তারা এতো কষ্ট করে পাঁয়ে হেটে এতো দূরের পথে চলে | এখানে আমার মতামত বা আমার বক্তব্য অবশ্যই তারা চেষ্টা করেছে, জীবনের গতিটাকে উন্নতি করার জন্য | আমার চোখে দেখা একটি মানুষকেও আমি দেখিনি যে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করেনি বা করছে না | অবশ্য করে এখানে ভাগ্য নিয়ে আমার দর্শন আলোচনা করবো........................
তার আগে আমি একটু বলতে চাই যে, আমরা যেহেতু ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসি, আমাদের অবশ্যই ইসলামের কথার উপর বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা থাকতে হবে | কারণ মহান আল্লাহ যা বলেছেন, তার ভিতর কোন সন্দেহ নেই | ইসলামে তাক্বদীর বা ভাগ্য বলে একটি কথা আছে | ইসলামে দুই ধরনের তাক্বদীর বা ভাগ্য আছে | যার একটি একটি আল্লাহ তায়ালা সকলের জন্য নির্ধারন করে রেখেছেন।আরেকটি হলো মানুষের উপর ছেরে দেয়া হয়েছে, যা কিনা তার নিজ চেষ্টায় পরিবর্তন করতে পারে। এখানে আমি প্রথম টার সাথেই একমত, ভাগ্য আসলে শুধুই নির্ধারিত এবং তার জন্য যা নির্ধারন করে রাখা আছে, সেটাই সে কেবল পাবে। এর চেয়ে বেশী কিছু না। যদি দ্বিতীয়টা সত্যিই হতো, তাহলে মানুষের ভাগ্য সবারটাই পরিবর্তন হতো। এবং আমি দেখতাম না যে, একটা মানুষ তার যৌবন কাল থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল হলেই তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য প্রাণ পন চেষ্টা করেই যাচ্ছে, সকাল হলেই বাসের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে তার কর্মস্থলে যাচ্ছে। এবং সেটা তার যৌবন থেকে বৃদ্ধ কাল পর্যন্ত। এবং আমি এটাও দেখতাম না একটা মানুষ তার শিশুকাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শুধু ভিক্ষা করেই যাচ্ছে। তাহলে তারা কি সারা জীবন ভাগ্যকে পরিবর্তন করার জন্য চেষ্ট করেনি ?? অবশ্যই করেছে। তাহলে চেষ্টার দ্বারা সত্যিই যদি তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করা যেত । তাহলে অবশ্য পরিবর্তন হতো।
আমি জীবনে অনেক দেখেছি, অনেকে অনেক টাক পয়সা আয় করে কিন্তু সে তার সাথে সাথে সমপরিমান কিংবা তার চেয়ে বেশী ঋনী থাকে, কেন ? তাহলে তার মানেকি এই দারায়না যে, সে যতোই চেষ্টা করুকনা কেন !! তার ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না ।এভাবেই সারাজীবন ধার দেনার ভিতরেই কেটে যাব !! আমার জীবনে আমি এমন অনেক দেখিছি সারাজীবন ভাগ্যের পরিবর্তন করেও ভাগ্যকে আর বদলাতে পারেনি।
তাই আমার কাছে মনে হয় আমরা যতোই ভাগ্য ভাগ্য বলে আওয়াজ করিনা কেন, যতোই পরিবর্তনের চেষ্টা করিনা কেন, আসলে ভাগ্যের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উপর থেকেই সেট করা। তাই ভাগ্যের পিছনে না ছুটে নিজের জীবনকে তার আপন গতিতে ছেড়ে দেয়াই ভালো।


Nurul Huda
About Me